বাংলাদেশে ইইউ’র জনশক্তি উন্নয়ন কর্মসূচি চালু
বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷
মঙ্গলবার ঢাকায় চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ইআরডি’র সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের প্রধান রেনসিয়ে টেয়েরিংক৷ প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২১ (এইচসিডিপি-২১)৷
প্রকল্পটির আওতায় আগামী চার বছরের মধ্যে শিক্ষার মাধ্যমে জনশক্তি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে মোট ২০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে৷ এর মধ্যে ১৫ কোটি ইউরো প্রাথমিক শিক্ষা খাতে, কারিগরি শিক্ষা ৫ কোটি ইউরো এবং ৫০ লাখ ইউরো সংশ্লিষ্ট কারিগরি সহায়তা খাতে ব্যয় করার জন্য দেয়া হবে৷
চুক্তি অনুষ্ঠানে ইইউ ও বাংলাদেশি প্রধিনিধিরা বলেন যে, এই প্রকল্প বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে৷ প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষাকে এক জায়গায় এনে শিক্ষা খাতে টেকসই উন্নয়নে সাহায্য করবে৷ সার্বিকভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-র ৪ নম্বর লক্ষ্য যেখানে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান ও আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরির কথা বলা আছে, তা বাস্তবায়নেই এ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে৷
‘‘শিক্ষার মতো জরুরি খাতগুলোতে ইউরোপীয় ইউনয়নের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ সরকার,” বলেন ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ৷ ‘‘এই সহযোগিতার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো মজবুত করতে চাই এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷”
রেনসিয়ে টেয়েরিংক বলেন, ‘‘আগামী দশ বছরে (বাংলাদেশে) ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ কর্মক্ষম হবেন৷ মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা ও টেকসই কারিগরি খাতে বিনিয়োগ তাঁদের কাজের সুযোগ বাড়াবে৷ তাঁরা তাঁদের কর্মদক্ষতা ব্যবহার করতে পারবেন এবং দেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসনে অবদান রাখতে পারবেন৷”
এখানে ইইউ মূলত বাংলাদেশের শিক্ষানীতির উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান রেনসিয়ে৷ বলেন, এ প্রকল্পে প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষাই মনোযোগ পাচ্ছে৷
এ সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে অনেকএগিয়েছে, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে লিঙ্গ সমতা বিধানে৷ মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশে আরো দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ প্রয়োজন হবে৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন