বাংলাদেশে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন ‘মোরা’?
গত ২৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর রোববার সকালে তা নিম্নচাপে এবং মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম করণ করা হয়েছে ‘মোরা’ (MORA)। কিন্তু, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন মোরা দেয়া হলো?
ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ বিষয়টি নতুন কিছু নয়। প্রথম যে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছিল, সেটা ছিল প্রায় তিনশ’ বছর আগে শ্রীলংকার মহাপরাক্রমশালী রাজা মহাসেনের নামে। আর এ ব্যাপারে নাম প্রবর্তনকারী জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আবহাওয়া সংস্থা ‘এস্কেপ’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটিই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী তখন এর নাম দেয়া হয় ‘মোরা’ (MORA)।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, ‘মোরা’ থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।
২০০০ সালে স্কেপের প্রস্তাবানুযায়ী প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা নেয়া হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য। এখান থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে পাঁচ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন