বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চূড়ান্ত

অবশেষে নির্ধারিত হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজের সিরিজ। সে সঙ্গে নিশ্চিত হলো দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠিও দিয়েছে বিসিবি। তবে বাদ দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজসহ আরও একটি টেস্ট।

বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। আরও হয়তো বাকি আছে। সেটি মাঠের ক্রিকেটে। কিন্তু তার আগে যা হলো, তা নাটকের চেয়ে কম কিসে? প্রথমে শোনা গিয়েছিল তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে একটি টেস্ট যেন বাদ দেওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পর জানা গেল টি-টোয়েন্টি সিরিজই খেলতে আগ্রহী নয় ক্যারিবীয়রা।

কৌতূহল দ্বিগুণ হওয়ার দশা। টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নদের হলো কি! একটু অবাক করার মতোই ঘটনা! ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের খেলাই হলো টি-টোয়েন্টি যাদের, তারা কি আসলেই খেলতে চায় না? পরে জানা গেছে, অন্দরমহলের খবর। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের অংশ। তাই এই সিরিজ দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট সিরিজেও আছে আইসিসির দৃষ্টিতে। কারণ দুই কিংবা তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমান পয়েন্ট কাউন্ট হবে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে।

তবে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের বেলায় আইসিসির কোনও প্রভাব নেই। তাই উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করে লম্বা সিরিজ যেন স্বল্প করা হয়। কারণ টানা খেলার মাঝে থাকায় ক্লান্ত তাদের ক্রিকেটাররা। বর্তমানে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড সফরে।

ক্যারিবীয়দের অনুরোধে সাড়াও দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিসিবি সিরিজ ছোট করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ও ক্যারিবীয়দের মাঝে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে ২টি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডের। আর একেবারেই বাদ দেওয়া হয়েছে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বাংলাদেশে আসবে উইন্ডিজরা। খেলা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীতে একটি টেস্ট ও ওয়ানডে। বাকি সব ম্যাচ হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সিরিজ নির্ধারণ হলেও এখনো ম্যাচগুলোর সূচি ঠিক হয়নি।