বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ টেকসই কর্মপরিকল্পনার উদ্বোধন করলেন পরিবেশ মন্ত্রী ও ডেনমার্কের মন্ত্রী


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি বিষয়ক মন্ত্রী ড্যান জর্গেনসেন মঙ্গলবার (১৩ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকসই ও সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বিষয়ে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যান যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন ও সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং বাংলাদেশ ও ডেনিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গত ৯ জুন কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্বাক্ষরিত জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় ডেনমার্ক বাংলাদেশকে নিম্ন কার্বন পাথওয়ে, সম্পদ-দক্ষ এবং সার্কুলার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে। শাহাব উদ্দিন বলেন, এই চুক্তি অনুসারে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, প্রশমন, পরিবেশগত ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি টেকসই এবং সবুজ ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রে টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতা, অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে খাদ্য ও কৃষি সম্পর্কিত মূল্য শৃঙ্খলের সবুজ রূপান্তর, সামুদ্রিক অবকাঠামোসহ টেকসই অবকাঠামো, সবুজ শিল্প রূপান্তর নিশ্চিত করা, পানি, পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি একীভূত করা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা টেকসই উন্নয়ন সমর্থন করে। প্রয়োজন হলে কর্ম পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা ডেনমার্কের সাথে উন্নত দেশগুলোর দ্বারা প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আনলক করার জন্য একত্রে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, ডেনমার্ক জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে পারে। আমরা এই বছর COP-28-এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গ্লোবাল স্টকে বাস্তবসম্মত আলোচনা এবং পদক্ষেপের জন্যও উন্মুখ। তিনি প্যারিস চুক্তির অধীনে জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য আহ্বান জানান।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন