বাংলাদেশ প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র: স্পিকার
জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি ও মূল্যবোধ জোরালো করার ক্ষেত্রে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাই সংসদ সদস্যগণকে এ লক্ষে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে বলেও তিনি জানান।
যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মি. আকবর খান পার্ক প্লাজা ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ হোটেলের লাউঞ্জে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য, বেকারত্ব ও স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসন করতে না পারলে গণতন্ত্র অর্থবহ হয় না। তাই সরকারের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের ও এসব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণের কারণে জনগণের গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি, সর্বোপরি জীবনমানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সংসদীয় চর্চা জোরালো করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সংসদ সদস্যরা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে ও এরই সঙ্গে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) সংসদ সদস্যদের মধ্যে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা জোরালোকরণে কাজ করছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ও প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম, বাজেট এনালাইসিস ও মনিটরিং ইউনিট এবং জাতীয় সংসদের লাইব্রেরী ও গবেষণা শাখা কাজ করছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে থাকার সময় সংসদ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করেছেন। পরে এসব উদ্যোগকে আরও জোরালো করেছিলেন।
তিনি সিপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে থাকার সময় যে দক্ষতা, মনোযোগ ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন মি. আকবর খান তা স্মরণ করে বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের পরিবর্তন হয়েছে। ব্রেক্সিট কার্যকরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আইনগত বিষয়গুলো অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পার্লামেন্টসমূহও ব্রেক্সিট পরবর্তী উন্নতি পর্যবেক্ষণে রাখতে পারে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ডেল্টা এবং আঞ্চলিক জ্ঞান ও সংযোগের হাবে রূপান্তরে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য নির্ভরযোগ্য বন্ধু। এসময় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন