বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার মিয়ানমারের

আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার প্রথমবার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ১৬০টিরও বেশি পুলিশ আউটপোস্ট বসিয়ে দেশটি। নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি।

গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে মিয়ানমারের পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল অং মাইয়াত মোয়ে ইরাবতিকে জানান, সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা দলে লোক জড়ো করেছে এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য জমা করেছে। সীমান্তের কাছে তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।’

আরেকটি দেশে শরণার্থী শিবির রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শরণার্থীর বেশ ধরে সন্ত্রাসীরা সেখানে অবস্থান করছে। আমরা জানতে পেরেছি, প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়েছে সেখানে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রচুর মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তার বরাত উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, মংডু ও বুথিডাং শহর এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে টহল দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া ক্রিমিনাল রেকর্ড ধরে অপরাধীদের দিকে দৃষ্টি রেখেছে দেশটি।

উল্লেখ্য, আরসা নামে পরিচিত সংগঠনকে মিয়ানমার সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা লাগিয়ে দেয় মিয়ানমার।

এই হামলার অভিযোগে রাখাইনে কঠোর সামরিক অভিযান শুরু হয়; যে অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। এর ফলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতা ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠেছে।