বাংলার মতো গণতন্ত্র আর কোথাও নেই

পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের জবাবে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি মোদির নাম না করে বৃহস্পতিবার বীরভূমের এক সভায় পাল্টা মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিচ্ছেন? বাংলাকে গণতন্ত্রের পাঠ শেখাতে হবে না। বাংলা সবাইকে জ্ঞানের পাঠ দেয়। আর যে গণতন্ত্র বাংলা মানে সেই গণতন্ত্র আর কোথাও মানা হয় না।

বীরভূমের ইলামবাজারে বাউল ও লোক-উৎসবের মঞ্চে বারবারই কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এই তৃণমূল নেত্রী। গত মঙ্গলবার এক টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বাংলার ‘গণতন্ত্রহীনতা’ নিয়ে যে অভিযোগ করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, বাংলার মানুষ শান্তিতে আছে। ওদের(বিজেপি) গায়ে বড় জ্বালা। মানুষ শান্তিতে থাকলে রাজনীতি হবে কী করে? ইচ্ছা করে মিথ্যা কথা বলে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি মনে করি শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীর মধ্যে যদি শান্তির জায়গা থাকে সেটা বাংলা।

তৃণমূলের প্রতি বিজেপির প্রতিহিংসা যে নতুন নয়, তা বোঝাতে গিয়ে আক্রমণাত্মক সুরে মমতার প্রশ্ন, কোথায় ছিলেন আপনারা? আমি বাংলায় জন্মাইনি বুঝি! বাংলায় রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের হাজার হাজার কর্মী খুন হয়েছেন। রাজনীতি করতে করতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কোথায় মার খাইনি?

মোদি দু’দিন আগে বাংলার ‘গণতন্ত্রহীনতা’ নিয়ে আক্রমণ করার পরেই পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সরব হয়েছিলেন অন্য নেতারাও। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রহীনতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন তারা।

সেই প্রসঙ্গক্রমেই মমতাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন গোরক্ষার নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে। পুলিশ থেকে সাধারন মানুষ কেউ বাদ যাচ্ছে না। ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক জনবিরোধী এবং ‘অগণতান্ত্রিক’ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ওরা কথা বলতে পর্যন্ত দেয় না। ব্যক্তিগত কোনও কথা বলা যায় না। কম্পিউটার থেকেও সব তথ্য নিয়ে নিচ্ছে। এরা আবার গণতন্ত্র শেখাবে?