বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি’র কোন ঠাঁই নেই- শেখ সেলিম
‘৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও পাকিস্তানি শাসক ও তাদের দোসরা বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠন করতে দেয়নি। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে সে অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তানের দোসর জিয়া-মুস্তাক বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়।
কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের উন্নয়নে রাতদিন কাজ করছে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, চিকিৎসা, নিরাপত্তা সহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন। জিয়া-খালেদার কুপুত্র তারেক লন্ডনে বসে বাংলায় অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের উৎসবের আমেজে তা নস্যাৎ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আর বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী সমিতি। এরা মায়ের কোলের শিশু আগুনে পুড়িয়ে মারে। দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে বাসে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা হামলায় মেতে উঠেছে।
কিন্তু ২২ হাজার ৭শ যুদ্ধাপরাধীর দল বিএনপিকে মুক্তিকামী স্বাধীন দেশের মানুষ শক্ত হাতে মোকাবেলা করেছে। লেজ গুটিয়ে বিএনপি এখন নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় ভুগছে। বাংলার জমিন থেকে একদিন যুদ্ধাপরাধী খুনি বিএনপি চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণের নেত্রী শেখ হাসিনাকে জয়ী করবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোপালগঞ্জ-২ আসনের ৮ বারের সংসদ সদস্য জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটুর সঞ্চালনায় নির্বাচনী জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি. এম সাহাব উদ্দিন আজম, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন দিপু, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম মিঠু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের (জিইউজে) সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের হাজার-হাজার নেতাকর্মী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন