বাংলার মানুষ ড.কামালকে কখনও ক্ষমা করবে না : তোফায়েল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ড.কামাল জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। বাংলার মানুষ তাকে কখনও ক্ষমা করবে না। নীতিহীনকে কখনো মানুষ পছন্দ করে না। এদের থেকে দূরে থাকতে হবে। ড. কামাল নাকি এমন নির্বাচন কখনো দেখেননি। আপনি ২০০১ সালে কোথায় ছিলেন? তখন তো কিছু বলতে পারেননি।

শনিবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকারহাট আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের অত্যাচার ও নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ২০০৪ সালে তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে। তাকে মহান আল্লাহ রক্ষা করেছেন। এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শান্তির প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। নতুবা উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। দেশে আবারও হানাহানি মারামারি বেড়ে যাবে। তাই সমাজে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাইলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জোট প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীমের ভাই গিয়াস উদ্দিন আল-মামুন ও তারেক জিয়া মিলে দেশটাকে লুটপাট করেছে। তারা দু’জনই সাজাপ্রাপ্ত। মামুন কারাভোগ করছে আর তারেক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে রয়েছে। ২০০১ সালে মামুনের সহযোগিতায় সব অপকর্ম করেছে হাফিজ ইব্রাহীম।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আবার হাফিজ ইব্রাহীম ২০০১ সালের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এলাকায় এসেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে এবং নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। এরা সন্ত্রাসী দল। এদেরকে বয়কট করতে হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে হাফিজ ইব্রাহীম যে অত্যাচার-অবিচার করেছে তার বিচারও এ দেশে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আপনাদের আওয়ামী লীগের পছন্দের প্রার্থী আলী আজম মুকুল একটি হীরের টুকরা, একটি ফুটন্ত গোলাপ। এলাকায় ওর কোনো বদনাম নেই। গত ৫ বছর তার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে সঠিক সেবা দিয়ে সবার মন কেড়ে নিয়েছে। অন্য আসন থেকে ভোলা-২ আসনে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মুকুলকে আপনাদের কাছে আমানত রেখে গেলাম। আগামী ৩০ তারিখে ভোটের মাধ্যমে তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ আলী আজম মুকুল এমপি।

এ সময় ২০০১ সালে বিএনপি জামায়েত জোটের নির্যাতনের বর্ণনা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী আলামিন মেম্বার, স্বপন মাতাব্বর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উত্তর জয়নগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক পথসভায় যোগদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।