বাংলা ভাষা মর্যাদার প্রশ্নে রনির শৈল্পিক শ্লোগান
পেশায় শিক্ষক, রক্তে বিপ্লব, কলম চলে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায়, করছেন বই সম্পাদনাও; এতটুকুই জানতেন সবাই। অতঃপর বেরুলো বারুদ। রগরগে শ্লোগান, ‘বিদ্বেষী’। ভিডিওসমেত মুক্তি পেয়েছে ইউটিউবে। মাইক্রোফোন হাতে এ যেন এক অন্য রনি, আসাদুজ্জামান রনি।
লাল সবুজ পতাকার ক্রীতদাস হবে দেশের প্রত্যেকটা মানুষ, এমন স্বপ্ন দেখেন রনি। স্বপ্নপূরণের দায়বদ্ধতা আছে যেহেতু, নিজেকে ক্রমেই ছড়িয়ে দিচ্ছেন সর্বত্র। ভাবনায়, লেখায়, কথামালায়। ক’দিন বাদেই একুশ। যত্ন বাড়বে শহীদ মিনারের। খোঁজ পড়বে একুশের গানের। ক্যাসেট খোঁজার যুগ যেহেতু পেরিয়েছে, ইউটিউব এবং গুগলই সর্বোত্তম ভরসা। মাইক-সাউন্ডবক্সে বিভিন্ন গান বাজিয়ে সাউন্ডটেস্ট শেষ করে ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁই ছুঁই হলেই হাতের মুঠো ছেড়ে দেবে সবাই, বেজে উঠবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, …’। অথচ ওরাই হয়তো এখন শহীদ মিনারের আশপাশ নোংরা করছে, পূত-পবিত্র শহীদ বেদীতে জুতো পায়ে উঠে পড়ছে, ব্যানার টানিয়ে দিচ্ছে; আরও কত কী! সময়কার চেনা দৃশ্য এমনই। কয়েকটা প্রজন্ম এভাবেই বেড়ে উঠছে, এই লজ্জাজনকভাবেই।
সালাম-রফিকদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা যাদের নেই, সেইসব রক্ত মেশানো মাতৃভাষায় প্রীতি যাদের নেই, পিছুটান যাদের নেই, যারা সভ্য হতে ভিনদেশী সাজার ব্যর্থ চেষ্টায় রত; প্রভাতফেরীর গান তাদের কন্ঠে উঠলে শহীদ মিনার কেঁপে ওঠে রাগে, বিদ্বেষে। আসাদুজ্জামান রনি তা-ই বলেছেন শ্লোগানের শুরুতেই, স্পষ্টভাবে। তিনি মন পেতে শুনেছেন শহীদ মিনারের সেইসব বিদ্বেষ, চোখ মেলে দেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন- ‘শহীদ মিনার উপাসনালয়, অন্য কিছু তো নয়’। যারা এই উপাসনালয় নিয়ে নোংরামি করে, দখলে নিতে চায়; তারা পাপী সন্তান, লাওয়ারিশ। তারা অন্তত এই দেশের নয়। ‘বিদ্বেষী’ শ্লোগানের সমন্বয়ক- আহম্মেদ হুমায়ূন এবং চিত্র নির্দেশক- সঞ্জয় সমদ্দার। শ্লোগানটি পাওয়া যাবে আসাদুজ্জামান রনি’র নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন