বাকেরগঞ্জে দুই জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে জখম
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/IMG_20241206_174446-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি চামটা কেষ্টনগর গ্রামে দুই জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলার শিকার দুজনকে বাচাঁতে তাদের স্ত্রী সন্তান এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। (৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়ামতি হাই স্কুলের কাছে নিজ বাড়ির সামনে এই হামলার শিকার হন ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ হাসিবুজ্জামান এবং কামরুল ইসলাম।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। মাথা ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহতের স্বজনরা জানানা, চামটা কেষ্টনগর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী উজ্জল (২৮) এবং মিজানুর (৩৮) এর নেতৃত্বে এই হামলা হয়। নেপথ্যে থেকে এই হামলার নির্দেশ দেন তাদের বড়ভাই নব্য বিএনপি নেতা বাহাদুর। তারা বিগত দিনে জাতীয় পার্টির সক্রিয় কর্মী ছিল। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর রাতারাতি বিএনপি বনে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর থেকে এলাকায় দখল, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালায়। মাথায় আঘাত করে তারা কামরুলকে মৃত ভেবে চলে যায়। এ সময় দম্ভ করে বলতে থাকে আমরা এখন বিএনপি করি। জামায়াত টামাত দেখার সময় নেই। আমাদের সামনে যে বাঁধা হয়ে দাড়াবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাহাদুর বলেন, আমি বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক। আমি হঠাৎ বিএনপি নই। ৩২ বছর যাবত আমি বিএনপি করি।
তাহলে বিগত সরকারের সময়ে বিএনপির বর্জন করা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাহাদুর বলেন, সেটা আমি অংশ নিতেই পারি। এর ব্যাখ্যা জানতে হলে আমার সাথে সরাসরি দেখা করুন।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন