বাগেরহাটের আঞ্চলিক সড়কে ভোগান্তির শেষ কবে! কালভার্ট নির্মান নয় যেন মরণ ফাঁদ
বিকল্প কোনো রাস্তা না করেই সাইনবোর্ড-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কে রায়েন্দা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামের বাড়ির কাছে কদমতলা এলাকায় কালভার্ট নির্মানের নামে একটি মরণ ফাঁদ সৃষ্টি করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রতিদিন যাতায়াতকারি সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনা সহ দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।
জানা গেছে, বাগেরহাটের ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এস এম বদিউজ্জামান এ কালভার্ট নির্মাণ করছেন। (১৬ জুলাই) সকাল ৮টায় একটি মালবাহী ট্রাক কালভার্ট নির্মানাধীন সড়কের গর্তে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে এলাকা বাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ট্রাক, পরিবহন গাড়ী ও ইজিবাইক, ভ্যান ,কোনে না কোন একটা গর্তে পড়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছে। আর এতে বিড়ম্বনায় পড়ছে সাধারণ মানুষ।
গত দেড় মাসের ও বেশি সময় ধরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কদমতলা এলাকায় কালভার্টের কাজ শুরু করে। কিন্তু গত পনেরো দিন আগে অর্ধেকেরও কম কাজ করে ঠিকাদার ও শ্রমিকরা লাপাত্তা। এমনকি ওখানে যারা কাজ করেন তাদেরকে খুজে পাওয়া যায়নি এবং সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। কদমতলার স্থানীয় বাসিন্দা আঃ মজিদ গাজী, মামুন ফকির ও আঃ রব বলেন, দেশটা মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। নইলে এই ব্যস্ত সড়কে এভাবে রাস্তা কেটে মানুষের ভোগান্তি করতে পারত না।
অন্যদিকে যারা জনপ্রতিনিধি আছে তারাও তেমন একটা নজর দেন না। যার জন্য এভাবে কন্ট্রাকটররা কাজ ফেলে রেখে গেছে। ইজিবাইক চালক মামুন ফকির বলেন তাফালবাড়ী থেকে রায়েন্দা আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু কদমতলা এলাকায় রাস্তা কেটে ফেলায় কোনো রকম গাড়ি ফেসে গেলে সারাদিনে আর ট্রিপ করতে পারিনা। বিষয়টি কাকে বলব বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাঠনের মালিক এস এম বদিউজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই কাজ সম্পন্ন করার জন্য আজই শ্রমিকদের ওখানে পাঠানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, কালভার্ট নির্মানের নামে জনগণের ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না। তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা রোডস এন্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান বলেন, এভাবে কালভার্টের কাজ ফেলে রাখা ঠিক হয়নি। তবে খোজ খবর নিয়েছি দুই-এক দিনের মধ্যে ঠিকাদার ওই কাজটি শুরু করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন