বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৭

বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রাঘাতে দুই শ্রমিক নিহত এবং আহত হয়েছেন আরো সাত জন। শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজারসংলগ্ন বান্দাঘাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পরই আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দুই জনকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে তিন জন বালু তোলা শ্রমিক এবং ৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

নিহত দুই শ্রমিক হলেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মোস্তফা (৫৫) এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামের (পিতা অজ্ঞাত) মিলন মিয়া (৩৫)।

আহতরা হলেন ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের নওয়াব আলী শেখের ছেলে নাসির শেখ (৩৪) এবং শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের মৃত মুনসুর গাজীর ছেলে খোকন গাজী (৩০), জামাল ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২৮), বারেক হাওলাদারের ছেলে সাগর (৩০), মিন্টু মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০), বাবুল (৫০) পিতা অজ্ঞাত ও সাউথখালী গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে বাবুল (৪৫)।

পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হতাহত শ্রমিকরা সবাই তাফালবাড়ী বাজারের ইট-বালু ব্যবসায়ী নিরব হাওলাদারের গোলায় কাজ করেন। সকাল থেকে তারা বাজারসংলগ্ন বান্দাঘাটা এলাকার খালে নোঙর করা কার্গো থেকে বালু তুলছিলেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে শ্রমিকরা সবাই পাশের একটি একচালা টিনের ছাপড়া ঘরে আশ্রয় নেন। এরই মধ্যে ওই ছাপড়া ঘরের ওপর পর পর দুইবার বজ্রপাত ঘটে। বজ্রাঘাতে আহতদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। নিহত দুই শ্রমিকের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা এলে এব্যাপারে আইনি প্রকৃয়া গ্রহন করা হবে।