সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন

বাগেরহাটের শরণখোলায় শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ

ঘড়ির কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে সকাল গড়িয়ে দুপুর। আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল। অথচ দেখা নেই সূর্যের। আর তাতেই যেন জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টি। শেষ বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য হাজিরা দিতে আসে সূর্য। গত কিছুদিন ধরে এমনই ছিল শরণখোলার আবহাওয়ার চিত্র।

শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগও। আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শরণখোলায় বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।তবে শ্বাসকষ্ট রোগীর চেয়ে ভাইরাস জ্বর, সর্দিকাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৫০ শয্যা হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

এর মধ্যে বেশিরভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসছে। তীব্র শীতের কারনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাড়তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসফাক হোসেন বলেন, প্রতিদিন জরুরি বিভাগে তীব্র শীত ও ঠান্ডাজনিত কারনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর,সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ভাইরাস জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।

শরণখোলা উপজেলা কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, তীব্র শীত বাড়ার কারনে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী তাছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রোগীই ভাইরাস জ্বর,সর্দিকাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত।

এসময় তিনি সকলকে সচেতন থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি আরো যত্নশীল হতে হবে। তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের ঘরে অবস্থান করতে এবং শীতের কাপড় পড়তে হবে। সবাইকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে এবং ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ও সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দেন।