বাগেরহাটের শরণখোলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বৃদ্ধা গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের শরণখোলায় আব্দুল হক মোল্লা(৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ উঠেছে। গত (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার শরণখোলা গ্রামের এক দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওই ছাত্রীর বোন বাদি হয়ে শরণখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শরণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও ওই এলাকায় স্থাপিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত কোডেক স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় ওই দিন স্কুলে আসে। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে স্কুল সংলগ্ন একই গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র আব্দুল হক মোল্লার মুদি দোকানে চানাচুর কিনতে গেলে এসময় একা পেয়ে মুদি দোকানি আব্দুল হক ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে দোকানের পিছনে নিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।

ছাত্রীর বাবা-মা কাজের সন্ধানে ভারতে থাকায় তার বোন হাজেরা বেগমকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ভাবে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে ভুক্তভোগীর বোন হাজেরা বেগম শরণখোলা থানায় বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

শরণখোলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যপারে আব্দুল হক মোল্লার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে আব্দুল হক মোল্লার প্রতিবেশী ও কোডেক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি হলেন ওই স্কুলের জমি দাতা এবং সামাজিক মানুষ। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল হককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্ররণ করা হয়েছে।এছাড়া ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারনের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এবং ২২ ধারায় জবান বন্দির জন্য আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।