বাগেরহাটের শরণখোলায় তাঁতীলীগের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক আওয়ামীলীগ নেতার ইন্ধনে তাঁতীলীগের সভাপতি মৎস ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন খান ও তার পরিবারকে অন্যায়ভাবে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি (৮ ফেব্রুয়ারী) বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার রাজাপুর গ্রামে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে মুখোশ পরা ৩ অজ্ঞাত দুবৃত্ত উত্তর রাজাপুর গ্রামের আমতলি নামক স্থানে চার রাস্তার মোড়ে রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জব্বার গাজীর পুত্র মোস্তফা গাজীকে মোটর সাইকেল থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। পরে ওই দুবৃত্তরা তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার হাত-পা ভেঙ্গে যায়।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার ইন্দনে মোস্তফা গাজী তার মেয়ে ইসরাত জাহান মৌকে বাদী করে আমাকে ও আমার আপন দুই ভাইসহ স্থানীয় আরো ৩ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় ঘটনার ২২ দিন পর গত ২৫ জানুয়ারী একটি মামলা দায়ের করে। তিনি আরো বলেন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাবেক ইউপি সদস্য ও মৎস্য ব্যবসায়ী। আমার প্রতিপক্ষ বর্তমানে ইউপি সদস্য হেলাল সরদার ও মোস্তফা গাজীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আমি ও আমার পরিবার। এমনকি তাদের কুট কৌশলের কারনে ঝামেলা এড়াতে গত ইউপি নির্বাচন থেকে আমি সড়ে দাড়িয়েছি। এরা উপজেলার কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থাকিয়া আমার লোকজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি এ মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে পরিত্রান পেতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করি।

এ ব্যাপারে মোস্তফা গাজী বলেন, আমি কোনো দলদারি করিনা, বর্তমান ইউপি সদস্য হেলাল ভাইয়ের একজন সমর্থক। তবে হাসিব খান, ডালিম খান ও মিরাজ নামের কয়েকজনের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হেলাল সরদার বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য জাকির খানের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে এটা তাদের সন্দেহ