বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৭ সদস্য আহত! ৯৯৯-এ ফোন করে প্রানেরক্ষা


বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মহিলা সহ ৭ জন আহত হয়েছে। হামলার সময়ে প্রতিপক্ষ গ্রæপের সদস্যরা ওই পরিবারের বসতবাড়িতেও হামলা চালায়। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে জেলার চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় আহতরা হলেন চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামের রুহিদাশ বিশ্বাস (৭০), ভানুমতি বিশ্বাস (৫৫), মিন্টু বিশ্বাস (৪৩), রনজিত বিশ্বাশ (৪০), সুবর্ণা বিশ্বাস (৩০), আশিক বিশ্বাস ( ২১) ও জতি রায় (১৮)।
পরে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। আহতরা প্রান ভয়ে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে না পেরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে মিন্টু বিশ্বাসের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রুহিদাশ বিশ্বাস বলেন, চিতলমারী উপজেলার আড়–বুনিয়া এলাকার মৃতঃ আরশাব শেখের ছেলে নূর ইসলাম শেখ (৪৩) আমার নিকট থেকে জমি ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন সময় ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেয় কিন্তু কিছুদিন পরে জমি নিবেনা বলে জানায় এবং তার দেওয়া টাকা ফেরৎ চায়, আমি জমি বিক্রয় করে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বললে সে আমার বড় ছেলে মিন্টু বিশ্বাসকে ধরেনিয়ে আটকে রেখে তার কাছ থেকে ২টি চেক এবং সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে রাখে।
কিছুদিন পরে সে চেক দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।
আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করলে সে আমাদের কাছ থেকে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা নেয় এবং একটি নিধারিত তারিখ দেয় সে তারিখে আমার মেঝ ছেলে রনজিত বিশ্বাস ৫০ হাজার টাকা দিতে গেলে সে টাকা ও আমার ছেলের মটর সাইকেল রেখে দেয়।
পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার নূর ইসলাম, তার স্ত্রী শিউলি বেগম, ভাই বেল্লাল শেখ ও মিলু শেখ সহ ২৫ থেকে ৩০ জন আমার বাড়িতে এসে আমি আমার স্ত্রী ভানুমতি বিশ্বাস, ছেলে মিন্টু বিশ্বাস, রনজিত বিশ্বাস, পুত্রবধু সুবর্ণা বিশ্বাস, নাতি আশিক বিশ্বাস ও নাত বৌ জতি রায় কে বেধড়ক মারপিট করে।
এসময় আসপাশের লোকজন ভয়ে তাদের কাছে আসতে পারেনি। পরে আমার মেঝ ছেলে রনজিত বিশ্বাস ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ চলে যাওয়ায় আমরা বাড়ি থেকে বের হতে না পারি এবং কোথাও চিকিৎসা নিতে না পারি এজন্য আমাদের বাড়ির চার পাশে ওদের লোকজন ঘিরে রাখে।
আমরা কৌশলে পালিয়ে বাগেরহাটে এসে চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। এব্যাপারে আমরা প্রানভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে চিতলমারী থানায় যেতে পারছি না।
অভিযুক্ত নূর ইসলাম শেখ এর সঙ্গে তার ০১৯৪৮-১৩৩৪০০ নম্বর মোবাইলে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পাওনাটাকা চাইতে গেলে রুহিদাসের পরিবারের সদস্যরা আমার উপর হামলা করে।
পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী নূরুনাহার শিউলি থানায় অভিযোগ করেছে।
চিতলমারী থানা ভারপ্রাপ্ কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমার নিকট কোন অযিাগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন