বাগেরহাটে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে জমি জবরদখলের চেষ্টা

বাগেরহাটের শরণখোলায় আব্দুর রহিম হাওলাদার নামে এক মৎস্য ব্যবাসয়ী ও তার বাহিনীর বিরেুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিক আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান বাদল জমাদ্দার এবং তার অংশিদাররা রহিম ও তার বাহিনীর ভয়ে জমির ধারেকাছেও ভিড়তে পারছেন না।

তারা জোরপূর্ব জমি দখল করে নেওয়াসহ জমির মালিকদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভ‚ক্তভোগী জমির মালিকরা।

জমির মালিকদের মধ্যে রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মাহজাহান বাদল জমাদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ২০২৩ সালে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৬নম্বর আমড়াগাছিয়া মৌজার রেকর্ডীয় মালিক মো. আব্দুল আজিজ কাজী, মো. সরোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং মৃত হরমুজ আলী হাওলাদারের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৪০দশমিক ৮২ শতাংশ জমি ক্রয় করি। যার এসএ খতিয়ান ১২৯৭, বিআরএস দাগ ৪৪৩৫ ও ৪৪৩৭ এবং বিআরএস খতিয়ান ২২৫১,২৩২২,২৩২০,২৩১১ এবং বিআরএস দাগ নম্বর ৬৩১৯ ও ৬৭৩৯।

জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমি ও আমার দুই অংশিদার জামাল হোসেন বয়াতী এবং জিয়া উদ্দিন ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল রহিম হাওলাদার ওই জমি তার বলে দাবি করেন। অথচ আমাদের ভোগদখলীয় জমির দাগ ও খতিয়ানের সঙ্গে আব্দুর রহিমের দাবিকৃত জমির দাগ-খতিয়ানের কোনো মিল নেই। এনিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে সালিস-বৈঠক করে বিবাদ মিমাংসায় একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ভ‚মিদস্যু আব্দুর রহিম তাতে রাজি হননি। জোরপূর্ব জমি দখলে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য।

শাহজাহান বাদল জমাদ্দার অভিযোগ করে আরো বলেন, আব্দুর রহিম হাওলাদার একজন ভূমিদস্যু। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নিরিহ মানুষের জমি কম দামে কেনাসহ জবরদখল করা তার নেশা। গত ২৪ জুন আমাদের দখলীয় জমিতে শ্রমিকরা সংস্কার কাজ করতে গেলে আবুদর রহিম ও খেজের নামে তার প্রধান সহযোগী অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো লোকজন নিয়ে কাজে বাধা দেন।

আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদেরকে হত্যাসহ জমি দখল করে নেওয়ার হুমকি দেন। আমার ভ‚মিদস্যু রহিম ও তার বাহিনীর হুমকিতে আতঙ্কিত। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগীতা চাই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, আমি কারো জমি দকল বা হুমকি দিইনি। শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের বতর্মান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের কাছ থেকে ২০১৯ সালে উল্লেখিত জমি কিনে আমি সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এসে আমার বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।