বাঘ-সিংহের চার শাবক এখন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে
ভারতে পাচারকালে যশোরে উদ্ধার হওয়া দুইটি সিংহ ও দুইটি চিতা বাঘের (লেপার্ড ক্যাট) শাবক গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে বাচ্চাগুলো পার্কে এসে পৌঁছেছে।
সাফারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন জানান, সোমবার রাতেই বাঘ ও সিংহের বাচ্চাগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আজ ভোর সোয়া ৪টার দিকে তা সাফারি পার্কে পৌঁছেছে। প্রাণী চারটির মধ্যে দুইটি সিংহের বাচ্চা এবং অপর দুইটি চিতা বাঘের বাচ্চা। সিংহের ছানা দুটির বয়স আড়াই থেকে তিন মাস এবং চিতা বাঘের বাচ্চাটির বয় দেড়মাস হবে। ফিডারের সাহায্যে শাবকগুলোকে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে এবং পার্কের দুইটি কক্ষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, বাঘ জাতীয় দুইটি প্রাণী (লেপার্ড ক্যাট) বাংলাদেশে বিরল। অনেকে এ প্রাণীটিকে চিতা বিড়াল বলে ডাকে।
লেপার্ড, জাগুয়ার ও চিতা প্রায় কাছাকাছি দেখতে হলেও এগুলো আলাদা আলাদা প্রাণী। এদের মধ্যে সবচেয়ে হিংস্র ও শক্তিশালী হলো জাগুয়ার। চিতা অন্য দুই প্রাণীর থেকেও বড়। এদের গায়ে গোল গোল ফাঁকা ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকে। আর গোল ছোপের মাঝে কালো বিন্দু থাকে। লেপার্ডের গায়ে ছোপ ছোপ থাকলেও তার মাঝে বিন্দু থাকে না। আর চিতার গায়ে ফাঁকা ছোপ থাকে না। ছোপ চিহ্নগুলো ভরাট হয়।
এ নিয়ে সাফারি পার্কে সিংহের সংখ্যা হলো ২১, রয়েল বেঙ্গল ১১টিসহ মোট বাঘের (চিতা বাঘের) সংখ্যা হলো দুইটি। তবে পার্কে এই প্রথম চিতা বাঘ যোগ হলো।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরতলীর চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকায় একটি টয়োটা প্রাডো গাড়ি থেকে এসব শাবক উদ্ধার করা হয়। ভারতে পাচারের জন্য ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷
পরে থানায় মামলার পর আদালতের মাধ্যমে শাবকগুলোকে সোমবার বিকালে খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার আসামিরা জানিয়েছেন, ঢাকার উত্তরার ফায়েদাবাদ এলাকার জসিমউদ্দিনের দেয়া শাবকগুলোকে যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের জনৈক ইদ্রিস আলীর কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। পরে চাঁচড়া চেক পোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন