বাজারভরা তরমুজ, বিক্রি হচ্ছে কেজিতে
বেশ কিছুদিন আগেই বাজারে এসেছে গরমে প্রিয় ফল তরমুজ। এখন রাজধানীর বাজারগুলোতে বলতে গেলে তরমুজের ছড়াছড়ি। বাজারভরা তরমুজ থাকলেও দামে খুব একটা খুশি নন ক্রেতারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাদামতলী ও যাত্রাবাড়ী আড়ৎ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা একশ’ হিসাবে তরমুজ কিনে থাকেন। তবে তারা খুচরা বাজারে বিক্রি করেন কেজি দরে। কেউ কেউ বলছেন- ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্য একজোট হয়ে কেজিতে তরমুজ বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একটি তরমুজ মোটামুটি ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৩০ টাকা করে কেজি ধরলেও সবচেয়ে ছোট সাইজের একটি তরমুজের দাম হয় ১৫০ টাকা। ১৫ কেজি ওজনের তরমুজের দাম হয় ৪৫০ টাকা।
রাজধানীর মাতুয়াইল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এখন রাজধানীর বাজারে মূলত ছাপা (মানুষ বলে বাংলালিংক) তরমুজই বেশি দেখা যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, কেজি হিসেবে তরমুজের যে দাম দাড়াচ্ছে তা বেশি। এর আগে এত ব্যাপকভাবে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়নি।
বিক্রেতারা বলছেন, একশ’ হিসাবে দাম ধরে তাদের তরমুজ কিনতে হচ্ছে। এতে ছোট-বড় সব আকারের তরমুজের জন্য একই দাম দিতে হয়। বড় তরমুজ দিয়ে মূলত তারা লাভ করে থাকেন। কেউ চাইলে না মেপেও দরদাম করে তরমুজ নিতে পারবেন। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে (উত্তর পাশে) ৭-৮টি তরমুজ বিক্রির দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই তরমুজের বিশাল স্তুপ।
তরমুজ বিক্রেতা মো. রিয়াজউদ্দিন বলেন, ‘৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছি। শবে বরাতের পরের দিন, আজ বন্ধ, তাই বেচাকেনাও কম। তবে বিকেলে বেচাকেনা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘সবাই কেজিতে বিক্রি করে, তাই আমিও করি। আমরা ছোট বড় মিলিয়ে একশ’ তরমুজ কিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। পরিবহন খরচ আছে, কুলি চার্জসহ আরও নানান খরচ আছে। ছোট তরমুজগুলো বিক্রিতে লাভ নেই। যা লাভ করি বড় তরমুজেই হয়।’
নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় থাকেন শাহাবুদ্দিন চৌধুরী। যাত্রাবাড়ী থেকে ফেরার পথে তিনি রায়েরবাগে গাড়ি থামিয়ে তরমুজ কিনছিলেন। তিনি ৯, সাড়ে ৯ ও ১০ কেজি ওজনের তিনটি তরমুজ কিনেছেন। তিনি বলেন, কেজি দরে তরমুজ আমি এর আগে কখনও কিনিনি। অদ্ভূত ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি আমরা। ছোট একটা তরমুজেরও অনেক ওজন হয়ে যায়। আমি ৩০ টাকা কেজি দরে তিনটা কিনলাম। তরমুজের সাইজ অনুযায়ী দাম বেশ বেশি মনে হচ্ছে।
এখানকার আরেকজন তরমুজ বিক্রেতা জহির উদ্দিন ৯ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে ২৭০ টাকায় বিক্রি করলেন। তিনি বলেন, ‘এটা ওজন দিয়ে ২৭০ টাকা বেচলাম, ঠিকা নিলেও তো এটা ৩০০ টাকার কম বেচতাম না।’
আব্দু্ল্লাহ আল মাহু নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কেজি দরে তরমুজ বিক্রির বিষয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘তরমুজ কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। সামনে মনে হচ্ছে কাঁঠাল, ডাব ও কেজি দরে বিক্রি শুরু করবে এই অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন