বাজেট নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাজেটের ব্যাপকতা বিএনপির পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাই দলটির নেতারা বাজেট নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ বাজেটের বিরোধিতা করবে- এটা তাদের আওয়ামী বিরোধী, শেখ হাসিনা বিরোধী মনোভাবের পরিচায়ক। গত ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে, বিরোধিতা করে আসছে। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাজেট নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখনই বাজেট ঘোষণা হয় তখনই তারা বাজেটের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাবার্তা বলেন। কিন্তু সরকার সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করে দেশতে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি (ফখরুল) নির্বাচন করে জয়ী হলেন, কিন্তু সংসদে যোগ দিলেন না। এটা তার নেগেটিভ রাজনীতির পরিচায়ক।
‘শুধু ঢালাওভাবে বাজেটের বিরোধিতা করলে চলবে না। যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলতে হবে। মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে আমরা সেটা মানবো না। সব মহল বাজেট গ্রহণ করে যখন সাধুবাদ জানাচ্ছে তখন বিএনপি বিরোধিতা করছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজেটের কোথাও নেতিবাচক ও হতাশার কিছু নেই। এটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণের অনন্য সাধারণ দলিল।
বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য শেখ হাসিনার প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বাজেট বাস্তবায়ন সবসময়ই চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন উদ্যোমে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে সরকার।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা জনকল্যণমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ ও নব উদ্যোগ সৃষ্টিকারী বাজেট। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে যারা এক বছরের বাজটকে তুলনা করছেন তারা ভুল করছেন, ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কথা ছড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সুদূরপ্রসারী। নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ এমনকি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সালের কেমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই সে পরিকল্পনার কথাও আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন শক্তিশালী দেশ। এবারের বাজেটও টেকসই অর্থনীতির ভীত রচনার বাজেট।
আওয়ামী লীগের বাজেট পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন