বাতিল তারিখেই হতে পারে কিম-ট্রাম্পের বৈঠক
বৈঠকের তারিখ বাতিল হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বৈঠকের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন স্থির সংকল্পবদ্ধ। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পও আগের তারিখেই বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আগামী ১২ জুনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের কাছে চিঠি পাঠান। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘ক্ষোভ’ ও ‘প্রকাশ্য শত্রুতার’ অভিযোগ করে এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে যেকোনো সময় বৈঠকের ব্যাপারে তিনি তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়ে রাখেন। এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে কোনো আগ্রাসী মনোভাব ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার হঠাৎ করেই আবার সাক্ষাৎ করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। প্রথম বৈঠকে দুই নেতা ছয় দশকের কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা এবং কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। এবারের বৈঠকে কিম ও মুন পানমুনজম ঘোষণা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। একই সঙ্গে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সফল বৈঠক নিশ্চিত করতে চান।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৈঠক শেষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, উন এখনো কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরপরই কিম ও ট্রাম্প উভয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়ে আশ্বাস মেলে।
গতকাল ওভাল অফিসের এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ১২ জুন বৈঠকের অপেক্ষায় আছেন। বৈঠকের তারিখের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জানিয়েছেন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকের ক্ষেত্রে সবকিছুই ‘অত্যন্ত চমৎকারভাবে’ এগোচ্ছে। এর জন্য অনেকে কাজ করছেন।
এমনকি ট্রাম্প গত শুক্রবার এই টুইটে বলেন, ‘বৈঠকের ব্যাপারে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যদি বৈঠকটি হয়, সেটি সিঙ্গাপুরে আগের সময়সূচি, অর্থাৎ ১২ জুনই হতে পারে। আর যদি প্রয়োজন হয়, বৈঠকের তারিখ পেছানো যেতে পারে।’
এদিকে বিবিসি জানায়, সিঙ্গাপুরের বৈঠক আয়োজন করতে মুন জে-ইনের প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান কিম জং-উন। পাশাপাশি বৈঠকটি ঠিক সময়ে হওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
হোয়াইট হাউসের একটি দল সম্ভাব্য বৈঠকের অংশ হিসেবে গতকাল সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে গত কয়েক বছরের উত্তেজনার পর ট্রাম্প ও কিম বৈঠকের বিষয়ে রাজি হন। এই বৈঠক হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার প্রথম বৈঠক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন