বাদ পড়লেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা
বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শের-ই-বাংলার নাতি ফাইয়াজুল হকেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রোববার বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বমোট নয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রোববার দিনভর বরিশাল জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলে।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) এসএম অজিয়র রহমান ৫২ জনের মধ্যে নয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে ছয়জনই বরিশাল-২ আসনের প্রার্থী ছিলেন। তবে বরিশালের ৬টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি মনোনীত কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে সমর্থক ও ভোটারের অস্তিত্ব এবং স্বাক্ষর যথাযথ না হওয়াসহ মোট ১১ জনের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি ধরা পড়ে।
ত্রুটি শোধরানোর জন্য তাদেরকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। ১১ জনের মধ্যে দুইজন তাদের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি ঠিক করেন। এরপর নয়জনের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় সেগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. বাদশা মিয়ার ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৌরনদী পৌরসভার ৮ হাজার ২৭৯ টাকার গৃহকর বকেয়া থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে ৪ হাজার ১৪৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
একই আসনে একজন সমর্থন ভোটার মৃত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন, একই কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, সমর্থক ভোটারের তথ্য ভুল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শের-ই-বাংলার নাতি একে ফাইয়াজুল হক, সমর্থক ভোটার ভুয়া হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনিসুজ্জামান এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমর্থক ভোটারের নাম-স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
পাশাপাশি বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে হলফনামা অসম্পূর্ণ হওয়ায় ঐক্য ন্যাপের মো. নুরুল ইসলাম মাস্টারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
তবে বরিশাল-৪ এবং বরিশাল-৫ আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়নি। কিন্তু বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে সমর্থক ভোটার ভুয়া হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ওসমান হোসেন মনিরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অজিয়র রহমান বলেন, বাছাইয়ে অবৈধ প্রার্থীরা আগামী তিনদিনের মধ্যে ৩, ৪, ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলের ওপর শুনানি হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশন যদি আপিল বাতিল করে তবে প্রার্থীরা আদালতেও যেতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন