বাবা জীবিত থাকলে আ’লীগ করতেন না : কিবরিয়া

হবিগঞ্জ-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। বড় চাকরি ছেড়ে আজ আপনাদের সেবায় নিয়োজিত হয়েছি। এমপি প্রার্থী হয়েছি, আমার প্রতীক ধানের শীষ। বাবার স্বপ্ন পূরণে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।

তিনি বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হলে ভিক্ষার জন্য কারও কাছে আপনাদের কাউকে হাত পাততে হবে না। এখানের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নে আমি কাজ করব।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাহুবলের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিল বাহুবল-নবীগঞ্জের এমপি হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন। বাবার জীবদ্দশায় তা সম্ভব হয়নি। বাবার স্বপ্ন পূরণে আমি এমপি প্রার্থী হয়েছি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে, আমি বিদেশে অনেক টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেছি। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জনগণের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।

রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশ-বিদেশ ঘুরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি নবীগঞ্জ-বাহুবলের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে রাজা-প্রজার স্টাইল বদলে দেব। দেশের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব সবাই।

নিজের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে রেজা কিবরিয়া বলেন, অযথা সাড়ে ৫ হাজার টাকা ঋণখেলাপি দেখিয়ে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। অপরদিকে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হলো।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ওরা আমাদের ভয় পায়। তাই ড. কামাল হোসেন, আসম রব ও আমার ওপর হামলা চালিয়েছে ওরা। আমরা ভীরু নই, হামলা-মামলা আমরা ভয় পাই না। দেশ এখন অন্ধকারে। ৩০ ডিসেম্বরের পর আলোতে আসবে প্রিয়দেশ। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমার বাবা জীবিত থাকলে এখন আওয়ামী লীগ করতেন না। কারণ আওয়ামী লীগ এখন আগের দল নেই।

এ সময় দলের নেতাকর্মীদের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সব কিছু মেনে নিয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানান কিবরিয়াপুত্র।

এর আগে বিকেল ৩টায় রেজা কিবরিয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে পুরো বাহুবল বাজার ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাজুসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।