বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আজ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯ লাখ টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি’র চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কানফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষ ও সচিবালয়স্থ মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও দেশজ সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস তথা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা কৌশল এবং লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
এডিপিতে দারিদ্য বিমোচন, জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ত্বরান্তিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃজন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি, শিল্প ও সেবাখাত প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আইসিটি শিক্ষার উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্প, সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) বাস্তবায়িত নতুন প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’র সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিবরণী- পিআইডি।
সিলেট বিভাগে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় সরকারের মানবিক কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সিলেট বিভাগের আওতাধীন সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে পাঠানো পৃথক বিবরণীতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
সিলেট জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত
২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ২২৮টি পরিবারের ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৮ জন। সিলেট মহানগর এলাকার জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা ৫০০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৩ হাজার ১শত টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭৩ হাজার ১ শত টাকা। এতে উপকারভোগী ৬৩ হাজার ৭১৮টি পরিবারের ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭২ জন।
সিলেট জেলায় শিশুখাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত নগদ ২৮ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। সিলেট জেলায় গোখাদ্য বাবদ বরাদ্দকৃত নগদ ১৩ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন।
হবিগঞ্জ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার ৪২টি পরিবারের ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৮ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা। ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৬টি পরিবারের ৬১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলায় শিশু খাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন।
সুনামগঞ্জ জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯০টি পরিবারের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫০ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে । এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয় বিতরণ প্রক্রিয়াধীণ। গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ১১ লাখ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন।
মৌলভীবাজার জেলায় ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৯০টি পরিবারের ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৫০ জন। এ জেলায় ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫০ টাকার মধ্যে পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী ৭৯ হাজার ২৫৩টি পরিবারের ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৫ জন। এছাড়া শিশুখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে। গোখাদ্য হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ লাখ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন