বালীয়াতলীর মানুষ সন্ত্রাস বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে : নৌকার প্রার্থী মহিব

বিগত প্রায় একযুগে বালীয়াতলী এলাকায় বেশকিছু দানব পয়দা হয়েছিল,আর সেই দানবদের অত্যাচার, নির্যাতনে সাধারণ মানুষ কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত ৫ বছরে দানবদের কবল থেকে আমি সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিয়েছি। এখন আর সন্ত্রাসীদের ভয়ে কাউকে দিন কাটাতে হয়না। তাদের নিমূর্ল করতে আল্লাহ’র অশেষ দয়ায় শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের খেদমত করতে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) শেষ বিকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বালীয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক পথসভা এসব কথা বলেন, নৌকার প্রার্থী এমপি মো. মহিব্বুর রহমান।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমার শ্রদ্ধেয় মামা মরহুম ইসমাইল তালুকদার জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার নীতি আদর্শ মেনে দলের জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু তারই পুত্র মাহাবুব ভাই নৌকা প্রতীক নিয়ে এই জনপদ থেকে সাবেক তিনবারের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েও আজ দলের বিরুদ্ধে ও নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

তিনি তার বাবার আদর্শকেও উপেক্ষা করেছেন। পথসভায় তার বক্তব্যে তিনি বলেন, দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে সেই অর্থ তিনি আজ নৌকার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন। আর অর্থের বিনিময়ে তার অনুসারী সমস্ত সন্ত্রাসীদের দিয়ে শেখ হাসিনার নৌকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু তার শান্তুি কোথায়, তিনি এবং তার স্ত্রী আদালতের বারান্দায় ধরনা দিচ্ছেন দূনীর্তির মামলায়।

এই প্রার্থী বলেন, ঘুমিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের জাগ্রত করে তাদের কাছে টেনে নিয়ে এখন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আবারও এই জনপদটাকে অশান্ত করতে চাইছেন। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ তাকে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রত্যাখ্যান করেছে তিনি তা হয়তো বুঝে গেছেন। আর তাই বালীয়াতলীর নৌকাপ্রেমী মানুষকে তার পোষ্য কুখ্যাত সন্ত্রীদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে দলে ভিড়াতে চাইছেন। কিন্তু কোন ভয় না পেয়ে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহবান জানান এমপি মহিব্বুর রহমান। আর ভোটাদের নিরাপত্তার জন্য সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার আশ্বাস দেন তিনি।

এসময় পথসভায় উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন—অর রশিদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পথসভায় বক্তব্য প্রদান করেন। তবে বিকেল থেকে সভাস্থলে মিছিল নিয়ে হাজির হন নৌকাপ্রেমী হাজার হাজার নারী—পুরুষ। এসময় সভা প্রাঙ্গন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।