বাড়ির আঙিনায় বছরে ৭ কোটি টাকা
রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলায় বাণিজ্যিকভবে সুপারির চাষ না হলেও ব্যক্তিগতভাবে বাড়ির আঙিনা ও বাগানে সুপারির চাষ করে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকার সুপারি বিক্রি করেছেন চাষিরা। সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় সুপারির আবাদ বেশি হয়। এবার সুপারির ফলন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় খুশি বাগান মালিক ও চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, এ অঞ্চলে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে সুপারি চাষ না করলেও অনেকে বসতবাড়ি ও এর আশপাশে বাগান আকারে সুপারির চাষ করছেন। সুপারি চাষে উল্লেখ্য কোনো খরচ ও রোগ বালাই হয় না। তাছাড়া সুপারির পাশাপাশি বহু কাজে আসে এর গাছ।
সুপারি গাছ সাধারণত উঁচু জমি ও বাড়ির আঙিনায় লাগানো হয়। তবে এ গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই সুপারি চাষে বাগান মালিক ও চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আগ্রহী করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৯৯ হেক্টর জমিতে পারিবারিকভাবে সুপারির আবাদ হয়েছে। এতে সুপারি উৎপাদিত হয়েছে ৩৪৪ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্যে প্রায় ৬৮৮ কেটি টাকা। বাজারে ১শ’ কাঁচা সুপারি দেড় থেকে দুইশ ও শুকনা সুপারি আড়াই থেকে তিনশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুপারির বাগান মালিক মুকলেছ মিয়াজী (মাস্টার) বলেন, তার বাড়ির আঙিনাসহ এক বিঘা জমিতে সুপারির চাষ করেছেন। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭শ’ সুপারি গাছ রয়েছে। এ বছর তিনি প্রায় ৩০ হাজার টাকার সুপারি বিক্রি করেছেন।
অন্যান্য সুপারি চাষিরা বলেন, সুপারি চাষে তেমন কোনো খরচ ও ঝামেলা নাই। তাই তারা বাড়ির আঙিনাসহ আশপাশে সুপারির চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান জানান, সুপারিতে কোনো রোগ দেখা দিলে কৃষকদের ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা। এছাড়া পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য বছরে দুইবার সার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন