বাড়ি, ব্যবসা নাই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েলের!
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নেই কোনো বাড়ি ও ব্যবসা। ৫ বছরের ব্যবধানে কমেছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। কিন্তু গাড়ি ক্রয়ে ঋণ বাবদ তার দায় বেড়েছে ১৭ লাখ টাকা।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দশম জাতীয় সংসদের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ২০ হাজার ৬৩০ টাকা আয় হয়েছিল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের। কিন্তু একদাশ জাতীয় সংসদের হলফনামায় ব্যবসা প্রযোজ্য নয় বলে জানান মন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী, বাণিজ্যমন্ত্রীর ৪৮ হাজার টাকার সমমূল্যের অকৃষি জমি থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদের হলফনামায় তা নাই।
দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারে ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার ৯৮৮ টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হলে একাদশ জাতীয় সংসদের হলফনামায় তা প্রযোজ্য নয় বলে জানান মন্ত্রী।
কৃষি খাত থেকে আয় বেড়েছে:
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের হলফনামা অনুযায়ী, কৃষিখাত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর আয় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও তার নির্ভরশীদের আয় হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, কৃষি খাত থেকে মন্ত্রীর আয় হয়েছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০ টাকা ও তার নির্ভরশীলদের আয় হয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদ কমেছে:
৫ বছরের ব্যবধানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের অস্থাবর সম্পদ কমেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনযায়ী, মন্ত্রীর ৪ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৪ দশমিক ০১৬ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, মন্ত্রীর ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৯৮০ টাকা সমমূল্যের অস্থাবর সম্পদ ছিল। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে মন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ কমেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, মন্ত্রীর নিকট নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯৮ টাকা ও স্ত্রীর নিকট রয়েছে ৬৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ টাকা।
মন্ত্রীর নিকট ২৬ হাজার ১৬০ টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৬ টাকা ও স্ত্রীর রয়েছে ২৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৪৬ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ারে বাণিজ্যমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর কোনো বিনিয়োগ নেই। তবে, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে মন্ত্রীর বিনিয়োগ রয়েছে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর রয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৯৮ টাকা।
এদিকে, মন্ত্রীর নিকট ২টি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটির মূল্য ৬১ লাখ টাকা অন্যটির মূল্য ৭০ লাখ টাকা। তবে, মন্ত্রীর স্ত্রীর কোনো গাড়ি নাই। এছাড়া মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনো স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি না থাকলেও স্ত্রীর ২৪ তোলা সোনা রয়েছে। যার মূল্য ৩ হাজার ১০০ টাকা।
বাণিজ্যমন্ত্রীর ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সমমূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রীর ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রীর ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র থাকলেও স্ত্রীর ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৯ টাকার।
স্থাবর সম্পদও কমেছে:
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ১৮.২৮৬ একর কৃষি জমি রয়েছে। অর্জনকালীন সময়ে যার আর্থিক মূল্য ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ১২৫ টাকা। এছাড়া তার কোনো অকৃষি জমি, দালান, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামার নাই।
কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, তার ১৮.২৮৬ একর কৃষি জমি ছাড়াও ৪৮ হাজার টাকা সমমূল্যের অকৃষি জমি ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন