বিউটি হত্যায় বাবুল নয়, বাবা ছায়েদ আলী জড়িত
হবিগঞ্জের কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যাকাণ্ডে তার বাবা ছায়েদ আলী নিজেই জড়িত বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়া ধর্ষণে জড়িত থাকলেও সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই হত্যাকাণ্ডে।
শনিবার নিজ মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের এ কথা নিশ্চিত করেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রাম্য রাজনীতির বলি হয়েছেন বিউটি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে রংপুরের আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। আলোচিত কিশোরী বিউটি হত্যা মামলার বাদী ও বিউটির বাবা ছায়েদ আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদি ও নিহত বিউটির বাবা ছায়েদ আলী জবানবন্দি দেন। পরে প্রতিবেশী এবং ময়না মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তারের বক্তব্যও রেকর্ড করেন আদালত।
জবানবন্দিতে ছায়েদ আলী বলেন, আসামি বাবুল মিয়া বিউটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে বাড়িতে ফেলে রেখে গেলে তিনিই মেয়েকে হত্যা করে বাবলুকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ছায়েদ আলী আরো বলেছেন, তিনিই মেয়েকে নানাবাড়ি থেকে গোপনে নিয়ে যান এবং পরে ব্রাহ্মণডোরা হাওরে নিয়ে হত্যা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে এতদিন বাবুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকলেও বিউটির বাবার স্বীকারোক্তিতে মামলাটি নতুন মোড় নিল।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ সকালে জেলার শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সেদিনই বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা ছায়েদ বাদী হয়ে বাবুলসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন