বিএনপির উদ্দেশ্যই হলো দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলার চেষ্টা করছে, যদিওবা জমাতে পারছে না।’
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে টেলিভিশন গণমাধ্যমের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) খাদিজা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতারা এর আগে খালেদা জিয়া অসুস্থ, বিদেশ না নিলে মারাই যাবে–এটি বলে জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল, পারেনি। এখন ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার প্রেক্ষিতে পৃথিবীময় সংকট চলছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। এই প্রেক্ষাপটে তারা এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার ও দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের এবং এর চেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা আমরা মোকাবিলা করেছি। ২০১৩-১৪-১৫ সালে উনারা যা করেছিল সেগুলো মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদের এই বিশৃঙ্খলা, হুমকি, আন্দোলন আন্দোলন খেলা এগুলো মোকাবিলা করা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়।’
‘নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসলে রাজপথে ফয়সালা হবে’ বিএনপির এ মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে ১০ বছরের বেশি সময় আগে। ১০ বছর ধরে তারা একই কথা বলে আসছে। মির্জা ফখরুল সাহেবদের এছাড়া আর কোনো বক্তব্য নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা, কোমরের ব্যথা, তারেক রহমানের শাস্তি, নির্বাচন কমিশন- এর মধ্যেই এদের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে।’
চাকরির মেয়াদ পূর্তির প্রায় এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেনকে অবসর প্রদানের আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এটি গতকাল আমি মন্ত্রণালয়ে এসে শুনেছি। অন্তর্নিহিত কি কারণ সেটি আমি জানি না। সেটি বলতে পারবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো সচিব অবসর গ্রহণ করলে তাকে আবার চুক্তি দিতে পারে, দেয়। আবার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সচিবকে অবসর দেয়। এগুলো আগেও ঘটেছে। প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে, আমি মন্ত্রণালয়ে এসে শুনেছি।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছিল, চলছে, কারণ আমি প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে আসি। সকল কাজ আমি সম্পূর্ণভাবে তদারক করি। আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন