বিএনপির ফাঁদে পা দেবেন না : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আপনারা বিএনপির উসকানির ফাঁদে পা দেবেন না। তারা যদি বিশৃঙ্খলা করে, রাস্তা দখল করে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি করে, জনমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে ‘বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য-জঙ্গিবাদী রাজনীতি’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সমাবেশে সেতুমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
যেমন কুকুর, তেমন মুগুর
কাদের বলেন, যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। কুকুরের যেমন ঘেউ ঘেউ মুগুরটাও ঠিক তেমননি নেমে আসবে। ও নিয়ে আপনাদের ভাবার দরকার নেই। আপনারা শুধু সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করব। আমরা উসকানি দেব না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজকে বিভিন্নভাবে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, আমরা কারো সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতে যাব না। আমরা ক্ষমতায় আছি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ চালাচ্ছি। আমাদের এখন মাথা গরমের সুযোগ নেই, ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
ভরা কলসি নড়বার দরকার নেই
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ৮ তারিখকে ঘিরে কোনো কর্মসূচি দিতে বলেন নাই। আমরা কর্মসূচি দেব না, তবে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে আমরা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক পাহারায় থাকব।
তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু দলীয়ভাবে রাস্তা দখল করে সভা-সমাবেশ করার পরিকল্পনা আমাদের নেই। ভরা কলসি নড়বার দরকার নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, আমরা কেন দেশকে অশান্ত করব? বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগে কোনো অস্থিরতা নেই।
ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না
বিএনপির গঠনতন্ত্রের সাত ধারা সংশোধনের কথা উল্লেখ করে ওবাদুল কাদের বলেন, মামলার রায়ের আগে বিএনপি খালেদা জিয়াকে উন্মাদ বানিয়েছে, দেউলিয়া বানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত বানিয়েছে এবং সর্বশেষ দুর্নীতিবাজ বানিয়ে প্রমাণ করেছে তারা দুর্নীতিবাজ দল। সাতধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করল ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন