‘বিএনপির ভিশন ২০৩০ আওয়ামী লীগের নকল’
আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার নকল করে বিএনপি ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নিজস্ব কোনো উদ্ভাবনী শক্তি না থাকায় এখন তারা আওয়ামী লীগের দেখাদেখি নানা ধরনের ভিশন নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হচ্ছে।
বুধবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন। ক্ষমতাসীন দল ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেই ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশকে কোথায় নিতে চায়, এ নিয়ে ঘোষণা করে ভিশন ২০২১। পরে ঘোষণা হয় ভিশন ২০৪১। এই দুই পরিকল্পনাই একসঙ্গে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এর মধ্যে খালেদা জিয়া আসছেন তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ভিশন ২০৩০ নিয়ে। আজ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এটি ঘোষণা করবেন। এতে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারলে কীভাবে দেশ চলবে, কী কী মৌলিক পরিবর্তন আসবে তার একটি বর্ণনা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। যদিও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, এই পরিকল্পনায় যা যা বলা আছে, তা নিয়ে দলের ভেতর মতভেদ রয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত নন, এমন একজন সাবেক অধ্যাপকের নেতৃত্বে ‘ভিশন ২০৩০’ শীর্ষক রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। তারা হলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এই পরিকল্পনা নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গেই বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিশেষ করে ভারতের আদলে সংসদে উচ্চকক্ষ চালুর বিরোধিতা করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা।
এই বিষয়টির উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ভিশন টুয়েন্টি থার্টির খসড়া প্রস্তুত করতে গিয়ে নিজেরাই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে তাদের পক্ষে জনগণকে স্বপ্ন দেখানো অর্থহীন।’
আওয়ামী লীগ নেতা, ‘শেখ হাসিনার পাল্টাপাল্টি বিএনপিকে একটা কিছু করতে হবে- এজন্য ভিশন নামের একটা চমক তাদের দরকার। তাদের ঘরেইতো খসড়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য। রাত দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক করেও খসড়া চূড়ান্ত করতে পারেননি। পরের দিন সকালে মিটিং দিলো তাও তাদের কর্মকর্তারা বেশিরভাগ উপস্থিত ছিলেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি নয় তারাই প্রশ্ন করেছে। এই যাদের মানসিকতা তারা আবার পার্লামেন্ট সংস্কারের কথা বলছেন। যারা নিজেরাই নিজেদের এসব বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তাহলে এসব ভিশনের কী দরকার ছিল।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন