বলেছিল পদ্মা সেতু করতে পারবে না আ.লীগ
বিএনপি এখন গোপনে পদ্মা সেতুর ওপারে যায়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যদি এবারও নির্বাচনে না আসে তাহলে তারা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনে আসুন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে না আসলে কতগুলো দল হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে আপনারাও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন।
দেশে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবেন না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অতীতে যেভাবে আপনাদের প্রতিহত করেছে এখনো প্রতিহত করবে।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাদের রোগমুক্তি কামনা করি কারণ তারা সুস্থ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিক আমরা সেটা চায়। আমাদের সরকার তিনটি টিকা দিয়েছে এখন আবার এক্সটা ডোজ দিচ্ছে। আমরা বিএনপি নেতাদের জন্য এক্সটা ডোজ রেখেছি আপনাদের দরকার হলে এটা নেন।
ড. হাছান বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর ফখরুল ও আব্বাসের সুর একটু পাল্টেছে। তারা বলেছেন, আমরা সরকারকে ধাক্কা দিতে চাই না। কারণ, ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই পড়ে গিয়েছে সেজন্য এখন তারা লাইনে এসেছে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আগামী বছরের শুরুতে এদেশে একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আপনারা অংশগ্রহণ করুন। জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি হচ্ছে সাপ। যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। নির্বাচনের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাব।
তিনি বলেন, আমরা ২৫টি দেশকে পেছনে ফেলে জিডিপিতে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হয়েছি। আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে (পিপিপি) ৩১তম হয়েছি। এগুলো তাদের পছন্দ হয়নি। পদ্মা সেতু তাদের পছন্দ হয়নি। তারা বলেছিল পদ্মা সেতু করতে পারবে না আওয়ামী লীগ কিন্তু এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতুর ওপারে যায়। আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়।
মেট্রোরেল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনে পুরো বাংলাদেশ খুশি। সারা দেশ থেকে মানুষ এসে মেট্রোরেলে চড়ছে। আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা করে টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়ছে। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা তাদের পছন্দ নয়।
এদিন সকাল থেকেই সমাবেশে দলে দলে যোগ দেন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তোলেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন