বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এটা পোস্ট কোভিড কমপ্লিকেশন বা করোনা পরবর্তী জটিলতা।
বুধবার (৫ মে) সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ফুসফুস থেকে তরলজাতীয় পদার্থ (ফ্লুইড) অপসারণ করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এর মাত্রা ওঠা-নামা করছে। এছাড়া অক্সিজেনের মাত্রাও কমেছে কিছুটা।
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছিল। আগে তার ডায়াবেটিসের মাত্রা ৮ থেকে ১০ পয়েন্টের মধ্যে থাকতো। কিন্তু গত দু-তিনদিন ধরে সেটা ১৬ থেকে ১৮ পর্যন্ত উঠছে। কখনও কখনও সেটা ২০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এজন্য তাকে আরও কিছু দিন সিসিইউতে রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেরে ওঠার পর এ ধরনের কিছু জটিলতায় ভোগেন। তবে খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে, তাই চিকিৎসকরা বিষয়টি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ফুসফুস থেকে যে তিন ব্যাগ ফ্লুইড বের করা হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
সেখানে অন্য কোনো রোগের জীবাণু পাওয়া যায়নি। জটিলতাগুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর নিয়মিত বিএনপি ও তার পরিবারকে জানানো হচ্ছে। কোন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে সেটাও বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া নিয়মিত খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকেও আপডেট জানানো হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন



















