বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় এমনিতেই উৎপাদন কমতে ছিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় গত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এতে শিল্প পুলিশের প্রধানসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধানরা অংশ নেন।বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানান অংশগ্রহণকারীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সব বাহিনীকে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এলাকায় কিভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, এ জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে গত কয়েক মাস ধরে অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক নেতিবাচক প্রবণতায় আছে। কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে আরো চ্যালেঞ্জের মুখে ছুড়ে দিচ্ছে।

বৈঠকে উপস্থিত শিল্প পুলিশের প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে শিল্পাঞ্চল পুলিশকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। শিল্পাঞ্চলে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছেন।

শিল্প-কারখানার উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিল্প-কারখানা নিয়ে আশঙ্কা অনেক আগে থেকেই ছিল। এখন যেটা ঘটছে বা ঘটবে সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। তবে শিল্পাঞ্চল পুলিশের জনবল কম হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে।’

বৈঠকে রাজনৈতিক কর্মসূচিকেন্দ্রিক নাশকতা নিয়েও আলোচনা হয়। পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির আকার বড় হওয়ায় সহজে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটিকে সহযোগিতা করবে কোর কমিটি। কোর কমিটি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।