বিএসএফের গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত
রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত তিন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর থানা পুলিশ।
ভারত থেকে গরু আনার সময় বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হন বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন।
অজ্ঞাত এই তিন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভারতের জনপ্রিয় ‘ইনাডু বাংলা’ পত্রিকায় খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।
ইনাডু বাংলা জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (৩ জুলাই) বিকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর থানার শেখপাড়া-কাহ্রাপাড়া সীমান্ত এলাকার ফসলের ক্ষেত থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল যেখান থেকে লাশগুলো উদ্ধার হয়েছে সেটি পশ্চিমবঙ্গের কাহারপাড়া শেখপাড়া সীমান্ত এলাকাটি বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চরমাঝারদিয়াড়, সোনাইকান্দি ও খরচাকা সীমান্তের ওপারে।
সীমান্তের ওপারের স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়, ৩ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন ভারতের শেখপাড়া-কাহারপাড়া ফসলের জমিতে কাছাকাছি পৃথক তিনটি স্থানে তিনটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা রানীনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কোনোভাবেই পুলিশ তাদের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান, সেদিন ভোরের দিকে গ্রামবাসী কাহারপাড়া-শেখপাড়া এলাকায় ব্যাপক গেলাগুলোর শব্দ পেয়েছেন।
সীমান্তের ওপারের কাহারপাড়া বিএসএফ ফাঁড়ির সূত্র উল্লেখ করে ইনাডু বাংলা আরও জানায়, বিএসএফ ওই রাতে ব্যাপক গোলাগুলি করে। তবে পরের দিন সকালে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে সীমান্তের কাছাকাছি ফসলের জমিতে রক্তমাখা কাপড় ও মাটিতে রক্তের চিহ্ন দেখতে পান। পরে বিকালে এলাকাবাসী পাটক্ষেতের মধ্যে তিনটি গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর থানার পুলিশ বলেছেন, বিএসএফের কাহারপাড়া ফাঁড়ি কাউকে গুলি করার কথা অস্বীকার করেছেন। তারা লাশগুলো বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতেও অস্বীকার করেছেন।
এদিকে ঘটনাস্থল সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার চরমাঝারদিয়াড়, সোনাইকান্দি ও খরচাকা এলাকার লোকজন জানান, জুলাই ভোরে তারা সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন। তবে তাদের এলাকার কেউ গুলিতে মারা যায়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নিহতরা বাংলাদেশি কিনা সেটিও তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী-১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শামীম আল মাসুদ ইফতেখার শুক্রবার সকালে বলেন, ভারতের কাহারপাড়ার বিপরীতে বাংলাদেশের চরমাঝারদিয়াড়, সোনাইকান্দি ও খরচাকা এলাকার কেউ ওই রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যায়নি। তা ছাড়া এই এলাকার কেউ মারা গেলে সেটি ওই দিনই জানা যেত।
তিনি আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে রাজশাহী বিজিবি জানতে পেরেছে নিহতরা সম্ভবত ভারতেরই নাগরিক। এর পরও তারা বাংলাদেশের নাগরিক কিনা সেটির সত্যতা যাচাইয়ে বিজিবি কর্তৃপক্ষ সীমান্তের ওই এলাকায় সম্ভাব্য সব উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন