বিএসবি গ্লোবালের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ

ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাবদ বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদান করেছি আমরা। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে উক্ত প্রতিষ্ঠান কৌশলে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি জমা দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফি জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে ও পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে। যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে অনেক দেনদরবার করার পর যে চেক দেওয়া হয় তা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।

আয়োজকরা আরও বলেন, টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ন্যায্য বিচার না পাওয়ায় আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে বিএসবি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ চালায়। এছাড়াও তারা পাওনাদারদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে এই মর্মে স্টাম্প পেপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা ৩ কিস্তিতে (যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর) সকলকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয় ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়; যা গুলশান থানা অবগত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— শিক্ষার্থী আবু নাইম, শিহাবুল ইললাম শিহাব, মেনশন মারমা, মারিয়া আক্তার, নাইমা আক্তার, অভিভাবক নাসির হোসেন প্রমুখ।