বিখ্যাত ‘পাকিজা’ অভিনেত্রীর করুণ মৃত্যু

ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা। করেছেন শতাধিক জনপ্রিয় ছবি। উপমহাদেশের বিখ্যাত ছবি ‘পাকিজা’র অভিনেত্রী তিনি। গত শনিবার মারা পাকিজা খ্যাত গীতা কাপুর। গীতা কাপুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখতে আসেননি তার ছেলে। মৃত্যুর পর ৩০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছেলে না আসায় মেয়েই করেন তার শেষকৃত্য।

৫৮ বছর বয়সে মারা যাওয়া এ অভিনেত্রী জীবনের শেষ দিনগুলো পরিবার ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়েছেন। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমে গত এক বছর ধরে সন্তানদের একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অভিনেত্রী। অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ছেলে রাজা কাপুরের মুখটি একবারের জন্য দেখবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের জন্য তো নয়ই, তার শেষকৃত্যেও পৌঁছাল না পাষণ্ড এই ছেলে।

মায়ের প্রতি প্রায় একইরকম উদাসীন মেয়ে আরাধ্যাও। তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানবিকতা দেখিয়ে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন গীতা কাপুরের মেয়ে।

গত বছরের মে মাসের এক দুপুরে গীতা কাপুরকে অসুস্থ অবস্থায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান তার ছেলে রাজা। এরপর এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলে আনার কথা বলে মাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় ছেলে।

পরে সেখান থেকে গীতাকে উদ্ধার করেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত। মৃত্যুর আগে সেই খ্যাতনামা অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ছেলে রাজা প্রায়ই তাকে মারতেন। দিনের পর দিন তাকে অনাহারে রাখতেন। চারদিন পর একবার তাকে খেতে দেওয়া হতো।

সত্তরের দশকে ভারতের নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন গীতা কাপুর। এক সময় বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। ‘পাকিজা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে।