বিচার না হলে শহিদ পরিবারকে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জুলাই-আগস্টের শহিদ শাহরিয়ার হাসান আলভির বাবার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১ ঘন্টা বিলম্বে শুরু হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শহিদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান বলেন, আমার ছেলে শাহরিয়ার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় মিরপুর ১০ এ শহিদ হয়েছে। আমাদের কান্না কখনো থামবে না, এই বেদনা শেষ হওয়ার নয়। খুনি হাসিনা ও তার হেমলেট বাহিনী আমাদের ওপর পাখির মতো গুলি চালিয়েছে। আমরা খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের হত্যার ৫ মাস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুনিরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা বিচারের নামে প্রহসন চাই না। যত দ্রুত সম্ভব বিচার করুন। আমাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য করবেন না। শহিদ পরিবার ও আহতদের পরিবারদের রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য করবেন না। আপনারা আমাদের সরকার, আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার করুন।
অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ দোসরদের বিচার না হলে শহিদ পরিবারগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলে। গতকাল সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায় আজ বিকাল তিনটায় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে ভোর থেকেই সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন।
এই কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল আর ব্যানার, পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলে পুলিশ, পুলিশের ডগ স্কোয়াড, র্যাব, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন