বিছানার ভিতর বিষধর সাপ, পরীক্ষার জন্য ওঝার কাছে নেওয়াতে হলো ভয়ানক পরিণতি
প্রচার আছে, কিন্তু সচেতনতা নেই। এখনও মানুষের মন জুড়ে রয়েছে কুসংস্কার আর তুকতাকের উপরে অন্ধ বিশ্বাস। আর তারই মাশুল দিল দুই বোন। সাপের কামড় খাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে স্থানীয় ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করতে নিয়ে যাওয়ার মাশুল দিল দুই বোন।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর থানার হুমনিয়াপোতায়। মৃত দুই বোনের নাম গীতা মুন্ডা(২৩) ও নমিতা মুন্ডা(১৩)। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে গীতা মুন্ডা তাঁর আট মাসের শিশু এবং বোন নমিতার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাচ্ছিলেন।
হঠাত্ই বিছানার ভিতর ঢুকে পড়ে একটি বিষধর সাপ। ঘুম ভেঙে সাপ দেখে দুই বোন চিত্কার করে ওঠেন। সেই চিত্কার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। সাপটিকে তাড়িয়ে দিয়ে বিছানায় থাকা দুই বোনকে সাপে কামড়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য তাঁদেরকে নিয়ে এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, ওই ওঝা ঝাড়ফুঁক করে নিদান দেন, দুই বোনকে সাপে কামড়ায়নি। ওঝার কথা শুনে দুই বোনকে নিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে আসে মুন্ডা পরিবার। বাড়ি ফিরে তাঁর আট মাসের সন্তানকে বুকের দুধও খাওয়ান গীতা মুন্ডা।
মাঝরাত থেকেই দুই বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রথমে পেটে ব্যথা ও পরে বমি শুরু হয়। এর পর দুই বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অবশেষে তাঁদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।
চিকিত্সকরা জানান, সাপের কামড়ের ফলেই মৃত্যু হয় দুই বোনের। ওঝার কাছে নেওয়াতে হলো এই ভয়ানক পরিণতি, হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো এমটা আর হতো না।-এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন