বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে মুচলেকা চান আদালত
রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চাওয়ায় তাদের মুচলেকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মুচলেকা পেলে ভাবনটি ভাঙতে সময় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ।
আপিল বিভাগ বারবার সময় আবেদন করায় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে ভবন ভাঙতে কত সময় লাগবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আনার পর এ বিষয়ে আদেশ দিবেন বলে জানান।
এ সময় আদালত ভবনটি ভাঙতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
গতবছরের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী এপ্রিলে সময় শেষ হচ্ছে। তার আগেই সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ২ জুন বিজিএমইএ’র করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৮ নভেম্বর ১৬তলা ভবনটি অবিলম্বে নিজ খরচে ভেঙে ফেলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ।
এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন