বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা সব সময় চেয়েছেন বিডিআর একটা কমিশন হোক। রোববার রাতে কমিশনটিতে প্রধান উপদেষ্টা সই করে দিয়েছেন। কমিশনের সদস্য সংখ্যা সাতজন।

কমিশনে রয়েছেন- বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমান, তিনিই এ কমিশনের সভাপতি।
তার সঙ্গে আরও থাকবেন সামরিক বাহিনীর দুজন সদস্য, সিভিল সার্ভিসের একজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকবেন।

রোববার কুমিল্লায় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী সব জায়গায় রয়ে গেছে। যে দুষ্কৃতকারীরা তাকে হেনস্তা করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। এক্সট্রা অডিশন করার জন্য, এটা প্রক্রিয়াধীন।

কোন উপায়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে।

সম্প্রতি ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই মাসে নয় বরং গত দেড়-দুই বছরে দেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। আমরা রোহিঙ্গাদের আর কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেবো না।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বর্ডার (সীমান্ত) আছে সেটি পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। এখন আমাদের বিজিবির সঙ্গে কথা বলার অবস্থা ছিল সেটি নেই। তাদের (আরাকান আর্মি) সঙ্গে এখন অফিসিয়াল কথা বলার সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি, যতদ্রুত সম্ভব এ সমস্যা (রোহিঙ্গা) সমাধানের।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি ডিটেইলস (বিস্তারিত) বলতে পারবো না, আপনারা (সাংবাদিক) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন তারা ভালো বলতে পারবেন।

আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা কাজ করছি। আমরা ভবিষ্যতে একটা ভালো ফল পাবো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে দুর্নীতির মাধ্যমে। বিজিবি এ ঘটনায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে জড়িত কি-না। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ওইখানে গেলে জানতে পারবেন পরিস্থিতি কি। ওইখানে যুদ্ধ হচ্ছে। ওইখানের পরিস্থিতিও আপনারা জানেন। রোহিঙ্গারা দুর্নীতির মাধ্যমে প্রবেশ করে।