বিডিআর বিদ্রোহের বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ, পর্যায়ক্রমে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার সকালে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা চলে গেছেন, তারা তো আর কোনোদিনও ফিরবেন না। কিন্তু স্বজনরা বিচার দেখে যেতে পারবেন। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, ইতোমধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্টপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পন্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। পরে শহীদদের স্বজনরা কবর জিয়ারত করেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির (তৎকালীন বিডিআর) সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দশম বার্ষিকী আজ সোমবার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে বিদ্রোহ ও হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এ মামলায় ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

এ ছাড়া বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬০৪১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন দেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।