বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবে শুনানি

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) লিখিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চতুর্থ দিনের মতো গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের কাছে উপস্থিত ভোক্তা, ক্যাবের প্রতিনিধি অধ্যাপক শামসুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিসহ সাংবাদিকরা বিদ্যুতের দাম কমানোর ওপর গণশুনানি দাবি করেন। পরে এই তারিখ ধার্য করা হয়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) গ্রাহক পর্যায়ে ১৪ শতাংশ, পল্লী বিদ্যুতের দাম গড়ে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ডিপিডিসির পক্ষ থেকে ৬.২৪ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর বিরোধিতা করে সাধারণ ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও ক্যাব লিখিত প্রস্তাব দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবের ওপর শুনারি তারিখ ঠিক করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম একে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘উৎপাদন ব্যয় হ্রাস সাপেক্ষে ইউনিট প্রতি ১.২৬ টাকা পাইকারি দাম কমানো সম্ভব। আমরা হিসাব করে দেখিয়েছি, গণশুনানিতে প্রমাণ করে দেয়া হবে।’