বিভাজন সৃষ্টি না করে ঐক্যের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

শেখ হাসিনার পতনের পর, সবার মধ্যে অনৈক্য তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এই মুহুর্তে কোন বিভাজন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানিনা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছিনা। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কি দুর্ভাগ্য যে এখন যেটা শুরু হয়েছে এটা এতটুকু সুস্থ ব্যাপার না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ক্ষমতায় তো টিকে থাকতে পারবে তখনই যখন তুমি একটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশের সব গণতন্ত্রকামী মানুষদের ও স্বাধীনতা দাবি মানুষদের তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে, বিভাজিত হবে না। সব পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনুরোধ করবো, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।

ফখরুল বলেন, আমি বুঝি না, কিছু মানুষ যেন ডেসপারেড (বেপরোয়া) হয়ে গেছে। তারা দেশকে ভাগ করবে আবার জনগণকে বিভক্ত করবে। এমন বিভিন্ন রকম কথা বলছে, বিভিন্ন রকম উসকানি দিচ্ছে। আপনারা দয়া করে এগুলোর মধ্যে যাবেন না।

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমরাই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে মাত্র ৪ টা পত্রিকা চালু ছিল, সবগুলো পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। বন্ধ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে মুক্ত করেছিলেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কার। আমরা এই জিনিসগুলো কেউ প্রচার করি না। আমাদের যারা বড় বড় বুদ্ধিমান আছেন, বড় বড় কথা বলছেন তারা কখনোই এই কথাগুলো আনেন না। কারণ তারা অনেকেই মা ও মানুষের সাথে এখনো সম্পৃক্ত হতে পারেন নাই। আমি অনুরোধ করবো সকলকে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ অন্যান্যরা।