বিমানে যাত্রী সুরক্ষায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক যারা, সেই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের(আইকাও) ২০১৭ সালে করা শেষ অডিট রিপোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, যে আটটি মাপকাঠির ভিত্তিতে সুরক্ষার বিষয়টি যাচাই করা হয়, তার মধ্যে পাঁচটিতে ভারতের প্রাপ্ত নম্বর আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় কম।

আর বাংলাদেশ সাতটি মাপকাঠিতেই আন্তর্জাতিক গড় থেকে এগিয়ে। গত সেপ্টেম্বরে আকাশে জেট এয়ারওয়েজের মুম্বই-জয়পুর বিমানের ভেতর কেবিনের বায়ুচাপ ঠিক না থাকায় যাত্রীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

তারপরেই ভারতের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয় এই অডিট রিপোর্ট। প্রসঙ্গটা আবার সামনে এসেছে শুক্রবার। কারণ বৃহস্পতিবার রাতে উড্ডয়নের মুখে তিরুচিরাপল্লি বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা মেরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানের ক্ষতি হয়।

শুক্রবার সকালে ভারতের বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানান, দেশের সমস্ত বিমানসংস্থা যাত্রী সুরক্ষার দিকগুলি ঠিক মতো পালন করছে কিনা, তার নিয়মিত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।

তবে শুধু বিমানসংস্থাই নয়, এই যাত্রী সুরক্ষার অভাবের জন্য কেন্দ্রকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইকাও জানিয়েছে, যে পাঁচ মাপকাঠিতে আন্তর্জাতিক গড়ের থেকেও কম নম্বর পেয়েছে ভারত, তার মধ্যে অন্যতম দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্তও।

যার অর্থ কতটা পেশাদারিত্ব নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে সেই অডিটে। ফলে প্রশ্নের মুখে তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিজিসিএ-ও।

এছাড়া আইন প্রণয়ন, সংস্থার পেশাদারিত্ব, লাইসেন্স ব্যবস্থা, বিমানবন্দর সংক্রান্ত মাপকাঠিতেও আন্তর্জাতিক গড় থেকে পিছিয়ে ভারত।