বিরক্ত হয়ে ১৮০ জনকে কামড় হরিণের!

যতই শান্তশিষ্ট চেহারার হোক না কেন খাওয়ার নামে কেউ বিরক্ত করলে তা সহ্য করা যায় না ৷ সে মাংসাসী না হয়ে তৃণভোজি হলেও তখন কামড়াতে যাবে৷ শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটছে খোদ টোকিওতে৷ সেখানে হরিণকে খাওয়াতে গেলে বিরক্ত হয়ে সে কামড়ে দিচ্ছে দর্শকদের৷

টোকিওতে বিশ্বখ্যাত নারা পার্কে রয়েছে প্রায় হাজারখানেক হরিণ ৷ এদের দেখতে প্রতি বছর সোয়া ১ কোটির বেশি লোক সমাগম হয় সেখানে৷ মূলত হরিণ দেখতেই দেশি বিদেশি পর্যটক এই পার্কে আসে৷ তবে অনেক সময় সেই হরিণ ছানাদের ছোটাছুটি দেখে তাদের নিজের হাতে খাওয়ানোর স্বাধ জাগে অনেকের। আর তাতেই যত বিপত্তি৷ কিছু খাওয়াতে গিয়ে এমনই বিরক্ত করে দর্শকরা যে হরিণরাও ক্ষেপে উঠে কামড়ে দেয়৷

এমনিতে হরিণরা শান্ত জীব কিন্তু তারা কামড় দিচ্ছে তার কারণ বিরক্ত হচ্ছে এমনটাই ধারণা নারা পার্ক কর্তৃপক্ষের ৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে , ১৮০ জন দর্শক এবছর হরিণের কামড় খেয়েছেন৷ গত বছরেও সংখ্যাটা কিছুটা কম ছিল তাও ১১৮ জনকে কামড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু এক বছরে সংখ্যাটা এতটা বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এবার কর্তৃপক্ষ৷

হরিণের একেবারের বদ মেজাজি নয় বরং শান্ত প্রকৃতির৷ ফলে পার্ক কর্তৃপক্ষ এমন পরিস্থিতির জন্য দর্শকদেরই দায়ি করেছে৷ কারণ অনেকেই বিস্কুট দেওয়ার নামে হরিণকে আদর করতে চায় ৷ নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে হরিণকে কাছে আনার চেষ্টা করে অথচ সহজে খাবারটা দেয় না আর তাতেই ক্ষেপে উঠে হয়ে হরিণ কামড়ে দেয়৷

কর্তৃপক্ষ এটাও বোঝে যে, এই নারা পার্কের হরিণের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান বন্ধ করে দিলে পার্কের মূল আকর্ষণটাই কমে যাবে৷ ফলে কেমন করে এই কামড়ের সংখ্যা কমান যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছে এবং এজন্য কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু সতর্কবার্তা দর্শকদের দিয়েছে৷ বিভিন্ন স্থানে জাপানি , চীনা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা এই সতর্ক বার্তা লটকে দেওয়া হয়েছে ৷ যেমন হরিণকে সরাসরি বিস্কুট দিয়ে দিতে বলা হয়েছে আবার কোনও শিশুদের অযথা হরিণের কাছে নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ইত্যাদি৷