বিশ্বনাথে বাঁশের সাঁকোই ভরসা ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ‘ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। আর এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় স্কুলে যাওয়া-আসা করে তারা।
একমাত্র প্রবেশ পথের বেহাল দশার কারণে বেশির ভাগই সময়ই স্কুলের সামনে পানি জমে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত করলেও বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এ কারণে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। অনেক সময় সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। পানিতে পড়ে নষ্ট হয় বই-খাতা ও পরণের পোশাক। সাঁতার না জানা শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকতে হয় অভিভাবকদের।’
সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আমিরডিং নদীর তীরঘেষা স্থানীয় দক্ষিণ সৎপুর গ্রামে অবস্থিত ‘ফতেহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’র সামনের পুরো অংশ জুড়ে জমে আছে পানি। তাই বিদ্যালয়ে প্রবেশের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। তার সাথে সংযুক্ত পরিত্যক্ত প্রায় কালভার্ট। বিদ্যালয় ছুটি হতেই ছাত্র-ছাত্রীরা কষ্ট এবং ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড়ি দিচ্ছে। এলাকার অনেকেই জানান, প্রায় দেড় হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কর করা হয় না। স্থানীয় রাজার বাজার থেকে পুরান সৎপুর পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার অথবা পাকাকরণ হলে সব দুর্ভোগই লাঘব হত।
কথা হয় বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাবির, রবিউল, হুসাইন, জাবেদ ও আকাশের সাথে। তারা জানায়, বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ক্লাসে আসতে তাদের ভয় করে। অনেক সময় সাঁকো পেরোতে গিয়ে পা পিছলে পানিতেও পড়ে কেউ কেউ। বই-খাতাও ভিজে যায়। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে পানিতে পড়ে অনেকেরই ফিরে গিয়ে পরীক্ষার হলে বসা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমার তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে। এ কারণেই অনেক সময় পাঠদান ব্যাহত হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল করিম লেবু জানান, ২০০৪ সালের বন্যার পরে ফতেহপুর বিদ্যালয় সড়কে মাটি ভরাট করা হয়নি। বিদ্যায়ের সামনে যে কালভার্ট আছে, সেটি পুনঃসংস্কার এবং সাঁকোর স্থলে মাটি ভরাট করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা মুহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন