বিশ্বাস করি না; মিয়ানমারকে মদত দিচ্ছে চীন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারকে চীন মদত দিচ্ছে বলে বিশ্বাস করি না। চীনের একটি অবস্থান রয়েছে। তারা আমাদের সাহায্য করছে, আমাদের সমর্থন দিয়েছে। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক, এটা চীন বারবারই বলছে। চীন আরও বলেছে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করুন। আমরা সেই পথেই আছি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝগড়া নেই।

শুক্রবার (২৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে মন্ত্রী এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচদিনের চীন সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ৮টি চুক্তি সই হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সম্পর্কের আলোকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২ জুলাই চীনের ডালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চেচিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। ৫ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি ঝ্যাংসু’র সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদে চীনের ভেটোর বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

চীনকে কী বার্তা দেবে বাংলাদেশ জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বলব রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের লোক ও এই বিরাট জনগোষ্ঠী এখানে যদি অনেক দিন থাকে, তবে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হবে এবং গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে।

বিগত দিনগুলোতে যারা আমাদের বিরোধিতা করেছিল তারা অনেকে আমাদের পক্ষে চলে এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন বা রাশিয়া এখন আমাদের পক্ষে জোরালো কথা বলছে। এমনকি ভারতও।

চীন থেকে বেশি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করি। আমরা ঋণের ফাঁদের বিষয়ে অবগত আছি এবং ওই ফাঁদে যাতে আমাদের না পড়তে হয়, সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সজাগ। চীনের ঋণ আমরা সেই বিবেচনায় নিচ্ছি। উপকার হবে না এমন কোনও ঋণ কেউ আমাদের জোর করে দিতে পারে না।

বিআরআই’র বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করি এবং ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি অনুসরণ করি। সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। আমরা বেল্ট অ্যান্ড রোডে প্রথমেই যোগদান করেছি। এটাতে আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি।