বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ৮টি এলিট ফোর্স!
সব দেশেই একটি বিশেষ বাহিনী থাকে। এই বাহিনী হয়ে পড়ে দেশটির মর্যাদা আর গর্বের বিষয়। এলিট ফোর্সই অত্যন্ত জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নেয়। সেভাবেই তাদের গড়ে তোলা হয়। তাদের জন্য থাকে বিশেষ প্রশিক্ষণব্যবস্থা। সব বাহিনী থেকে বাছাই করা লোকদের নিয়ে গঠন করা হয় এই বাহিনী।
কয়েকটি দেশের এই বিশেষ বাহিনী বিশেষভাবে পরিচিত তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং সাফল্যের জন্য। শত্রুরা পর্যন্ত এসব বাহিনীকে ভয় পায়। এখানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি আটটি এলিট ফোর্সের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
৮. পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ
বাহিনীটির নাম ব্ল্যাক স্টোর্কস। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানের জন্য গঠিত এই বাহিনীটি। তাদের প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে পূর্ণ সাজে সজ্জিত হয়ে ১২ ঘণ্টায় ৩৬ মাইল মার্চ করা এবং ৫০ মিনিটে ৫ মাইল দৌড়ানো।
২০০৯ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনীর সদরদফতরে হামলার পর তালেবানের হাতে আটক ৪০ জনকে মুক্ত করতে এই বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়।
৭. স্পেনের বিশেষ নৌবাহিনী ইউনিট
স্পেনের এই বিশেষ বাহিনীটির সুনাম রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ১৯৫২ সালে স্বেচ্ছাসেবী অ্যাম্ফিবিয়ার ক্লাইম্বিং কোম্পানি হিসেবে এটি গঠন করা হয়। পরে একে এলিট ফাইটিং ফোর্সে পরিণত করা হয়।
অবশ্য এই বাহিনীর সদস্য হওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং কাজ। ব্যর্থতার হার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। অনেক সময় ১০০ ভাগ আবেদনকারীকেই ফিরিয়ে দেয়া হয়।
৬. রাশিয়ার আলফা গ্রুপ
এই বাহিনীটি সৃষ্টি করেছিল কেজিবি, ১৯৭৪ সালে। বিশ্বে এটিও অন্যতম বিশেষ বাহিনীর খ্যাতি অর্জন করেছে। বর্তমানে এফএসবির অধীনে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
আলফা গ্রুপ সন্ত্রাস দমন কাজে নিয়োজিত থাকে। সেই সাথে গোপন অভিযানেও নামে। উভয় দায়িত্বই তারা পালন করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে।
৫. ফ্রান্সের ন্যাশনাল গেন্দারমেরি ইন্টারভেনশন গ্রুপ
২০০ সদস্যবিশিষ্ট সন্ত্রাসপ্রতিরোধের এই বাহিনীটি বিশ্বের অন্যতম সেরা। পণবন্দী মুক্তিতে এই বাহিনী বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। ১৯৭৩ সালে এটি গঠিত হয়। এর পর থেকে তারা ৬০০-এর বেশি লোককে মুক্ত করেছে বলে খবরে প্রকাশ। ১৯৭৯ সালে পবিত্র মক্কায় একটি গ্রুপ ঢুকে পড়লে সৌদি কর্তৃপক্ষ মুক্ত করতে এই বাহিনীর পরামর্শ নিয়েছিল। ফ্রান্সে এই বাহিনীর ছবি প্রকাশের বিরুদ্ধে আইনও রয়েছে।
৪. ইসরাইলের সায়েরেত মাতকাল
এই বাহিনীটি শত্রুর শক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। নানা ধরনের কঠোর প্রশিক্ষণ, সার্বক্ষণিক শারীরিক ও মানসিক নজরদারির মধ্য দিয়ে তাদের গড়া হয়। কেবল সবচেয়ে ভালো, এমন লোকদেরই এই বাহিনীতে রাখা হয়।
৩. ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিসেস
এই বাহিনীটি এসএএস নামেও পরিচিত। অনেক ভূমিকায় তারা থাকে। বিশেষ করে গোপন অভিযান, সন্ত্রাস দমন, পণবন্দী মুক্তির অভিযানের জন্য তারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বাহিনীটি গঠন করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে ইরানি দূতাবাস অবরোধের সময় পণবন্দী মুক্তির অভিযানে দৃশ্য টেলিভিশনে প্রচার করা হলে তারা বিপুলভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
২. ব্রিটিশ স্পেশাল বোট সার্ভিস
সংক্ষেপে এই বাহিনী এসবিএস নামেও পরিচিত। প্রার্থীদের নানা ধরনের শারীরিক যোগ্যতা, জঙ্গলে প্রশিক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে বাছাই করা হয়। কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ দুবার এই বাহিনীতে নিয়োগ লাভের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
সশস্ত্র সঙ্ঘাত ও যুদ্ধের সময় এসবিএস সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করে।
১. মার্কিন নেভি সিল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ষর্ধ বিশেষ বাহিনী। ১৯৬২ সালে গঠিত হয় এই বাহিনী। আকাশ, পানি ও স্থল সব স্থানেই তারা হামলা চালাতে প্রস্তুত থাকে।
কয়েক বছরের প্রশিক্ষণের পর তারা বাহিনীর সদস্য হতে পারে। বিভিন্ন দেশে তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সবচেয়ে আলোচিত অভিযান ছিল আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা। পাকিস্তানে গিয়ে তারা এই অভিযান চালায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন